সিরাজগঞ্জের তাড়াশ উপজেলার চাঞ্চল্যকর সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান আওয়ামী লীগ নেতা আব্দুল কুদ্দুস সরকারকে গুলি করে নির্মম হত্যাকান্ডের রহস্য এখনও উদঘাটন হয়নি। তবে পুলিশের উর্ধতন কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন এবং পুলিশের বিভিন্ন গোয়েন্দা বিভাগের সদস্যরা ইতিমধ্যেই তদন্ত শুরু করেছেন। তাড়াশ থানার ওসি শহিদুল ইসলাম এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
তিনি আলোকিত বাংলাদেশকে জানান, ওই উপজেলার ভোগলমান চারমাথা বাজারে দেশীগ্রাম ইউপির সাবেক চেয়ারম্যান ও আ’লীগ নেতা কুদ্দুস সরকার প্রতিদিনের মতো শনিবার (১৮ ফেব্রুয়ারি) সন্ধ্যা রাতে তার ছেলের সার ও কীটনাশকের দোকানে অবস্থান করছিলেন। এ সময় অস্ত্রধারী ২০/২৫ জনের একটি দল ওই দোকানে প্রবেশ করে এবং তাকে লক্ষ্য করে ৪/৫ রাউন্ড গুলি করে পালিয়ে যায়। উপর্যপুরি গুলিবিদ্ধ ওই আ’লীগ নেতা ঘটনাস্থলেই নিহত হন। পুলিশ দ্রুত ঘটনাস্থলে গিয়ে নিহতের লাশ উদ্ধার করে এবং রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) সকালে তার লাশ সিরাজগঞ্জ ২৫০ শয্যা বিশিষ্ট বঙ্গমাতা শেখ ফজিলাতুন্নেছা মুজিব জেনারেল হাসপাতাল মর্গে প্রেরণ করে।
এদিকে, রোববার (১৯ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে পুলিশের অতিরিক্ত ডিআইজি (রাজশাহী) রশিদুল হাসান, পুলিশ সুপার আরিফুর রহমান মন্ডল বিপিএম (বার), পিপিএম (বার) ও অনান্য কর্মকর্তারা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। এ নির্মম হত্যাকান্ডের ঘটনায় এখনও মামলা হয়নি। তবে রাতেই সংশ্লিষ্ট থানায় মামলা হবে বলে তিনি উল্লেখ করেন।